২৩ ডিসে, ২০১৪

যারা অস্ট্রালিয়াতে পড়তে আসবেন

পড়তে যারা আসবেন তারা খেয়ালে রাখবেন আপনি যত চখাম স্কলারশিপেই আসেন, আপনি এইদেশে একজন নিম্নবিত্তের সমান স্যালারি পাবেন। ইয়েস, নিম্নবিত্ত। সুতরাং, অলিগলি না যাইনা ডাইভ দিবেন না। ডলারং কিপ্টোং তপঃ


১. আসার আগে উস্তাদ (সুপারভাইজার) কে মেইল দিয়ে আগাম ফ্লাইট ও প্রথম দেখা করার সময়, তারিখ ঠিক করে নেন। অস্ট্রালিয়া আসার পরে ইমেইল এক্সেস কবে পাবেন ঠিক নাই। প্রথম মোলাকাত মানেই স্যালারি শুরু। আসার পরে শুইয়া বইসা সময় নষ্ট না কইরা আগে উস্তাদের সাথে দেখা করে রেজিস্ট্রেশন করে নেন। এরা একদিনে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলে। সকল ফাইল-পত্তর (স্কলারশিপের কাগজ) আর কলম নিয়ে ক্যাম্পাসে হাজির হোন।



২. আসার আগে শপিংঃ

অস্ট্রালিয়াতে কোন কিছুই সস্তা না। সুতরাং দেশ থেকে পর্যাপ্ত আন্ডার গার্মেন্টস (নারী ও পুরুষের আন্ডারগার্মেন্টসের বেপক দাম), গার্মেন্টস, দাড়ি কাটার রেজার, গ্রুমার, কটনবাড সবকিছুর দাম বেশি। পোষাকের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে, খুব শীতের কাপড় (জ্যাকেট, হুডি, সোয়েটার) এর পাশাপাশি গরমের কাপড়ও আনা উচিৎ। এদের হুট করে গরম পড়ে। লুঙি, পাজামা, সকস লেন। এইখানে হররোজ ছিটা বৃষ্টি পড়ে। ছাতা আনতে পারেন। প্লাস্টিক মারা হুডি লইতে পারেন যা বৃষ্টিতে চুপ্সাবে না। এরপরেও অনেক্কিছুই কিনতে হবে, শুরু করেন চায়নিজ দোকান থেকে। এরপরে শপিংমলে ঢুকেন।  


আরেকটা জিনিস- পিসিতে প্রচুর পাইরেটেড সফট লিয়ে নেন।
সস্তা জুতা কিনবেন না। সস্তা স্যান্ডেল এইখানে চলবে, কিন্তু শীতের জুতা পোক্ত হওয়া চাই। মাঝে মাঝে এডিডাসে সেল দেয়, ৫০/৭০ডলারের জুতা খুব কামের। ১৫ ডলারের জুতা ৫টা কিনা ১বছর কষ্ট করার চেয়ে ৫০-৭০ডলারের একটা ব্রান্ডের জুতা ভালো আরাম দিবে।  


৩. আসার আগে বিদায়ঃ
অবশ্যই পুরান সুপারভাইজারদের সুন্দর সালাম দিয়ে আসা উচিৎ। পিছে কোন কাজ বাজায়ে নিয়ে আসা উচিৎ হবে না। এক্স-উস্তাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা ঈমানি দ্বায়িত্ব। দুনিয়াটা ছোট, একাডেমিয়া আরো ছোট। কারে কখন লাগবে কে জানে। আপনার পিএইচডির পেপার যে এক্সউস্তাদের কাছে যাবে না তার গ্যারান্টি নাই।


৪. অস্ট্রালিয়ার ফ্লাইট অনেক লম্বা। ফ্লাইটে শুকনা খাবার ব্যাগে রাখেন। ল্যাপটপে ভালো মুভি রাখেন।


৫. আসার পর



-মোবাইল: যোগাযোগ ছাড়া মানুষ এখন বাঁচতে পারে না। ঘনঘন পুটপুট করা চাই। ফোনে প্রচুর চার্জ দিয়ে প্লেনে উঠেন। অস্ট্রালিয়াতে আসার পরেই ছেলেপেলে প্যাকেজে সুন্দর স্মার্টফোন কিনে ধরা খায়। আমিও আইফোন ৩কিনেছিলাম, কোন টাকা ছাড়া। মাসে ২৯ডলার বিল। খুব খারাপ জিনিস। ২বছর বান্ধা সার্ভিস। পরের মাসেই দেখা গেল আইফোন ৪হাজির। প্রথম মাসে দেশে কথা বলে লিমিটের উপরে যাওয়াতে বিল আসলো ৮৬ডলার। মার্ডার। এক একজনের কথা বলার হ্যাবিট এক এক রকম। কেউ বেশি পকপক করে, কেউ কম। কারো দেশে বউ আছে, কারো অনেক অনেক গার্লফ্রেন্ড। সুতরাং আমি কোন সলিউশন দিতে পারতেছি না। তবে কেউ ২বছর বান্ধা সার্ভিসে সাইন করার আগে শুরুতে একটা সহজিয়া সিম কিনে বাজার যাচাই করে পছন্দ সাধ্য সক্ষমতা মাফিক প্যাকেজ নিলে ভালো করবেন।


আসার পরেই নেয়া উচিৎ Lebera, Lyca mobile, GT mobile, গোটক
কোন প্যাকেজ নাই। ১০ডলার ভরে দেশে পকপক করা যায়। টাকা শেষ, কথা শেষ। বেশি বিল আসার চান্স নাই।


প্যাকেজ হিসাবে ভালো সার্ভিস-
TPG, OPTUS, VODAPHONE এগুলার সার্ভিস আবার এলাকাভেদে উঠানামা করে। আপনার এলাকার সেরা নেটওয়ার্ক বেছে লিন।


-ইন্টারনেটঃ বাসায় ইন্টারনেট শুরুতে না নেয়াই ভালো। ধীরে চলো নীতিতে এলাকার সেরা সার্ভিস ও প্যাকেজ বেছে নিন। তবে, ইন্টারনেট বাসায় লাগাইতে হপ্তা দুই সময় লাগে। যারা ফ্যামিলি সহ আসবেন, তারা দ্রুত এপ্লাই করেন। এদের ইন্সটলেশন সার্ভিস খুব স্লো। দেশটা বড়, কামলা কম, সার্ভিস ঢিলা।


-আবাসন
এই দেশের প্রধান খরচের খাত আবাসন। অবিবাহিতরা শেয়ার্ড, বিবাহিতরা ছোট ইউনিট নিতে পারেন। আবাসন খোজার সাইট-
realestate.com.au
domain.com.au
আর সবকিছু খোজার সাইট gumtree.com.au,  ebay


gumtree তে বাসা, বাসার জিনিস্পাতি, সেকেন্ডহেন্ড, ফাস্টহেন্ড---সব মেলে।


আসবার আগে খোজ নেয়া উচিৎ, ওই ভার্সিটির বাংলাদেশি ক্লাব আছে কিনা। ফেবুতে ও গুগলে গ্রুপ তালাশ করেন। পাইলে ভালো। না পাইলে পরিচিত কাউরে খোজেন। তারা আবাসনের ব্যাপারে খোজ দিতে পারে।


কিছু বিষয়-
-বাসার ছবি দেখেই টাকা দিবেন না। এইদেশে বাইরে একরকম, ভিতরে আরেক রকম বাসা মেলে। বাইরে সদরঘাট বাসার ভিতরে ফিটফাট মিলতে পারে। বাসা ভাড়া হপ্তাভিত্তিতে লেখা থাকে। ৪.৩৩ দিয়ে গুন করে মাসিক ভাড়া দেখে লিন। এডভান্স ১মাসের ভাড়ার টাকা নিয়ে আসেন।


বাসার যা দেখা উচিৎ-
ক। হিটীং সিস্টেম- হিটিং সিস্টেমের মধ্যে সবচেয়ে ভালো গ্যাস হিটীং> অয়েল হিটিং> ইলেক্ট্রিক হিটীং> বীচি হিটীং
গ্যাস হিটীং সুলভতম, আরামের মধ্যে ষোল আনা। বাকিগুলির খরচা ক্রমান্বয়ে বেশি ও আরাম কম। বীচি হিটীং হলো ছোট স্পিকারের মতো হিটার। খুব গরম বাতাস দেয়, কিন্তু পাগলের মতো কারেন্ট খায়।


খ। কুকিং সিস্টেম- গ্যাস কুকার>ইলেক্ট্রিক> ইন্ডাকশন
গ। রাস্তা থেকে দূরত্বঃ হাইওয়ে, ফ্রিওয়ে থেকে দূরে বাসা নেয়া ভালো। হাইওয়ে>রোড>স্ট্রিট> এভিনিউ এই ক্রমে গাড়ির গতি ও ট্রাফিক কম হবে।
ঘ। ক্যাম্পাস থেকে দূরত্ব- এইটাই সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট বিষয়। গাড়ি না থাকলে বাসে/ট্রেনে যাতায়াত করতে হবে। সবচেয়ে ভালো পায়ে হাটা দূরত্বে। বাট যত ক্যাম্পাসের কাছে, তত বেশি ভাড়া। উল্লেখ্য এদের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুব সময় মেনে চলে, কিন্তু অনেক খরচ। গাড়ি বিষয়ে আলাদা করে কবো। ক্যাম্পাসের পোষ্টকোড লিখে রিয়েল এস্টেটে +১০কিমি রেডিয়াসে বাসা তালাশ করা বুদ্ধিমানের কাজ। পাবলিক ট্রান্সপোর্টের কাছে হইলে ভালো।
বাসায় উঠার সময় সবকিছুর ছবি তোলা মাস্ট। এই ছবিগুলি সংরক্ষন না করলে বাসা ছাড়ার সময় নানান ছুতায়, এইটা ভাংছেন, অইটা নষ্ট করছেন বইলা এজেন্ট/বাড়িওয়ালা বন্ডের টাকা খেয়ে রাখবে।

ফার্নিচারঃ
গরিব ভাইব্রাদারদের জন্য ডাম্পিং সিজন পর্যন্ত অপেক্ষা করা বাঞ্ছনীয়। এই সিজনে লোকে ফার্নিচার ফেলে দিবে। বড়লোক এলাকার ভালো ফার্নিচার নিয়ে ঘর সাজান। এছাড়া সুলভে পাবেন ‘গ্যারাজ সেল’ এর ফার্নিচার। খ্রিষ্টান মিশনারির দোকানেও সুলভ ফার্নিচার মেলে- Salvos. এছাড়া ফ্রিজ, অভেন কেনার/টোকানোর সময় স্টার দেখে নেয়া উচিৎ। কারণ বেশি পানি/বিদ্যুত খায় এমন জিনিস খাল কেটে বাসায় এনে প্রতি মাসে লস খাওয়ার চেয়ে একটু বেশি খরচা করে ভালো জিনিস কিনলে আঁখেরে লাভ।

ম্যাট্রেসঃ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ঘুমের শান্তির জন্য ম্যাট্রেসে বেশি খরচ করা উচিৎ। পুরান ম্যাট্রেস মানেই দুই দিন পর ব্যাকপেইন। গবেষকদের প্রধান অসুখ ব্যাকপেইন। সুতরাং, ম্যাট্রেস দেখে শুনে কিনেন।


-খাদ্য
ফ্রেশ শাকসব্জির অনেক দাম। ফ্রোজেন খাবার প্রচুর আছে। দোকানপাটে প্রচুর হারাম খাবার আছে। হালাল দেখে খাইতে চাইলে এলাকার মোসলমান ভাই-ব্রাদারদের সাথে আলাপ করে জেনে নেয়া ভালো। যেকোন দোকানে নিঃসংকোচে ইহা হালাল কিনা যাচাই করা যায়। সাদা কালো নির্বিশেষে সবাই হালাল কি বস্তু তা জানে। দেশ থেকে মসলার পোটলা আইনা এয়ারপোর্টে ধরা খাইয়েন না। এরা কুত্তা দিয়ে শোকায়। ধরা পড়লে ফাইন করে। যদি একান্তই ধরা পড়ে যান, তালে একদম নিরীহ চেহারা করে ‘সরি, আমি বুঝি নাই’ কয়ে মালামাল ফেলে কেটে পড়ুন। কোন খাবার না আনাই ভালো। ওষুধ- এসেনশিয়াল ড্রাগস (হাগার, কাশির, জ্বরের, পোড়া-কাটার) আনা উচিৎ। এদেশে ওষুধের অনেক দাম। ডাক্তার ফ্রি হইলেও তার দেখা পাইতে এপোয়েন্টমেন্ট লাগে। যাদের তামাকের নেশা আছে, প্রচুর তামাক নিয়ে আসেন। এই দেশে তামাকের অনেক দাম। বেন্সন মনে হয় ২০ডলারের উপরে।


গাড়িঃ
যারা সংসারী লোক তাঁদের জন্য গাড়ি অত্যন্ত জরুরী। গাড়ির খরচের মধ্যে মেইন্টেনেন্স, বার্ষরিক রেজিস্ট্রেশন আর তেল। বার্ষরিক রেজিস্ট্রেশন ৭৫৭ডলার (ভিক্টোরিয়া)তে। মেইন্টেনেন্সের খরচাও অনেক। জাপানি গাড়িতে মেইন্টেনেন্সে কম খরচ। ছোট পরিবারের জন্য ১.৮-২.২ লিটার গাড়ি ভালো। সিঙ্গেল ও এভেইলেবলের জন্য ১.৩-১.৮লিটার। প্রতি ০.৫লিটার বেশি গাড়ি বছরে প্রায় ৫০০ডলার বেশি খাবে। বেশি ছোট গাড়ি হাইওয়েতে ১০০কিমি/ঘন্টা গতিতে চালালে কাপাকাপি করে।


গাড়ি দেশেশুনে কেনা উচিৎ। গাড়ির দামের ব্যাপারে ভালো আইডিয়া দিবে http://www.carsales.com.au/
কিন্তু কেনার সময় দেখতে হবে ডিলার নাকি প্রাইভেট ওনার। প্রাইভেট ওনাররা কম দামে দেয়। ডিলার দেয় বেশি দামে, কিন্তু কিছুটা ভালো গাড়ি। গাড়ি টেস্ট ড্রাইভ  করে অবশ্যই রোড ওর্দি সার্টিফিকেট (RWC)সহ কেনা উচিৎ। এই সার্টিফিকেট ছাড়া কিনলে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। অবশ্যই কামেল লোক সাথে নিয়ে গাড়ি দেখতে যাওয়া উচিৎ।


---আপনার অস্ট্রালিয়া যাত্রা শুভ হোক। আমিন।



২৬ এপ্রি, ২০১২

১৯ দিনের আন্দোলন: বুয়েট প্রসাশনের রাজনৈতিক ভূত


আজ বুয়েট শিক্ষকদের কর্মবিরতির ১৯ দিন হইলো। বুয়েটে এত নিয়মিত আন্দোলন হইতেছে যে ভুমিকা না লিখলে অনেকেই বুঝবেনা কোন আন্দোলনের কথা বলা হইতেছে . ০৬ ব্যাচের ইশানের উপর ছাত্রলীগের হামলা....ওটা শেষ হতে না হতেই আবার শিক্ষকদের কর্মবিরতি ....রেজিস্টার নিয়োগে দুর্নীতি, তদন্ত কমিটির কোন সুপারিশ ছাড়াই ০৬ ব্যাচের আন্দোলনকারী ছাত্রদের ফলাফল স্থগিত করে দিলেন ভিসি, হেলালী স্যারের বিরুদ্ধে হিজবুল তাহরীর- মৌলবাদী- জঙ্গি অপপ্রচার, ০৪ ব্যাচের শিক্ষক রানার বিরুদ্ধে ফেইসবুক স্ট্যাটাসে 'হায়েনা' লিখায় হাসিনার নিরাপত্তা চেয়ে জনৈক জননেত্রী পরিষদ(dont ask me what is it) নেতা এবি সিদ্দিকের জিডি, একই সাথে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আর ছাত্রলীগের প্রতাপ, আওয়ামী পন্থী ভিসির বিশেষ এখতিয়ারে ছাত্রলীগকর্মীর ফেল করা কোর্স উইথড্র করা, যেখানে অন্য একজন সাধারণ ছাত্রের ক্ষেত্রে একই আবেদন গৃহীত হয় নি. অভিযোজগুলোর তালিকাটা অনেক বড়....  প্রতিটাই বুয়েটের ইতিহাসে প্রথম এই ধরনের ঘটনা   

চিন্তাশীল এবি সিদ্দীক সাহেবকে অভিনন্দন, হায়েনার প্রতিশব্দ খুজে বের করার জন্য। ...তবে বুয়েট ভিসি আবার ফেইসবুক স্ট্যাটাসের জবাবদিহিতা চাবেন ও ব্যবস্থা (!) নিবেন বলছেন। বুঝাই যাচ্ছে উনিও হায়েনা শব্দের মানে জানেন।

 ভিসি বলেন, ‘বিষয়টি আমিও শুনেছি। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তাঁর ব্যাখ্যা অনুযায়ীই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’-কে কি স্ট্যাটাস দিবে সেইটা কি ভিসির কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে?

১৯ দিনের কর্ম বিরতিতে ২টা জিনিশ বোঝা যায়।


১। আমাদের ভিসি সাহেবের খুটির জোর আছে । 

২। আমাদের বুয়েট শিক্ষকরা অনেক কিছুতে কামেল। কিন্তু তাদের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা নাই। থাকলে ১৯ দিন পরেও ভিসি বহাল থাকতো না।

বুয়েটে ৫ বছরে অনেক আন্দলন দেখছি। সিনিয়রদের কাছেও শুঞ্ছি। কিছু নিজেও করছি। কিন্তু শিক্ষক-হবু শিক্ষক কেউ কোন কালে কোন ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন শুনি নাই। আন্দোলন করতে হবে কুরবানির গরু জবাইয়ের মত, জবাই হবে কিন্তু পশুকে কষ্ট দেয়া যাবে না...হল ভ্যাকেন্ট করা যাবে না...১ সপ্তাহ মাঠ গরম করে ২য সপ্তাহে গেট আটকাও, ভিসি অফিস ঘেরাও, পেপারে সংবাদ, সিন্ডিকেটের মিটিং ডাকতে বাধ্য করা....

এন্টিস্পিন: তাছাড়া বুয়েটের আন্দোলন সফল করতে প্রয়োজন এন্টিস্পিন, যা আন্দোলনকে আরো গতি দিবে। এখানে এন্টি গ্রুপ হিসাবে ছাত্রলীগ আর বঙ্গবন্ধু পরিষদ আছে....সুতরাং আন্দোলন জমবেই ..অভিজ্ঞতা না থাকার কারনে শিক্ষকরা ব্যবহার করতে পারছেন না । কাজের মধ্যে কাজ, পোলাপাইন্স বেকায়দায় পড়ছে। দীর্ঘদিনের ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের যে বিশাল ব্যবধান হৈছে, সেইখানে সহমর্মীতার অবস্থান নাই। তাই শিক্ষকদের আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহনের তাগিদ থাকলেও, উদ্দ্যোগ নাই।অপরদিকে ছাত্রদের নিয়ে আন্দোলনে নামতেও শিক্ষকদের সংকোচ। তারা নবাবি কায়দায় ঘরে বসে আন্দোলন করতে চাচ্ছেন। একসাথে বসে দুইটা পাতা বিবৃতি দিয়ে দ্বায়িত্ব শেষ। চ্যান্সেলর বরাবর পত্রপ্রেরন আর ভিসির সাথে কাটাকুটি খেলায় তাদের এপ্রোচ অনেকটা ধরি মাছ না ছুই পানি। প্রানের বুয়েট- জানের বুয়েটকে বাচাইতে যদি আপনাদের এতই আগ্রহ থাকে, তাহলে মাঠে নামেন। ভিসি অফিস ঘেরাও দিতে লজ্জ্বা করে? গেটে তালা দিতে লজ্জ্বা করে? তাহলে শহীদ মিনারে বসে অনশন করেন। নাকি সেটা অনেক ছোটলকি হয়ে যায়?

আপনারা কি আশা করতেছেন, ভিসি, প্রো-ভিসি আপনাদের কর্মবিরতির জন্য হাস্ফাস করতে কর্তে পদত্যাগ করবেন? কে কবে সেটা করছিল বাংলাদেশ? ভিসি সাহেব রাজনীতি করা লোক। উনার চামড়া মোটা ও পিচ্ছিল। যদি আজকে উনি পদত্যাগ করেন, আগামীতে দল তাকে একজন দূর্বল লোক হিসাবে মূল্যায়ন করবে। সেই ভূল উনি করবেন আশা করেন? প্রধানমন্ত্রী আপনাদের উদ্ধারে আগায়া আসবে? বাংলাদেশের প্রায় সবগুলা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত তিন বছরে কত কিছুই না হলো। কতো লাশ পড়লো। প্রধানমন্ত্রী কিছু কর্ছে? কর্বেও না। সামনে ডিসিসির ইলেকশন নাই...আপনাদের ভোটের আর দরকার নাই ...... হাসিনার সাথে শিক্ষামন্ত্রিজির আলোচনার ফলাফল পাওয়া গেছে, শিক্ষামন্ত্রী এই আন্দোলন অযৌক্তিক বলছেন । বটে। ডাক্তাররা ধর্মঘট করলে রোগীর দূর্ভোগ হয়- তাই সেটা অনৈতিক। শিক্ষক ধর্মঘট করলে ছাত্রদের দূর্ভোগ হচ্ছে- এটাও অযৌক্তিক। এইদেশে লাশ না ফেললে আপনাদের  দাবি কেউ পাত্তা দিবে না.... ২টা গাড়ি পুড়ান, গাড়ির ভিতরে গ্রিল কর কিছু মামুলি খুচরা মানুষ.... এরপরে সেটা মাথায় " ব্যথার"কারণ হবে

আপনারা কিসের জন্য অপেক্ষা কর্তেছেন? গায়ে ধুলা না লাগিয়ে আন্দোলনের ফল আশা করেন কিভাবে? জানেন না, এইদেশে মানুষের লাশ কত সস্তা? সারাদেশ ৩দিন অচল করে কতোগুলো মানুষকে মারা হলো...সরকারের কিছু হইছে? আপনারা আগামী ১ মাস এইভাবে বিবৃতি দিয়েও কিছু করতে পারবেন না। কেউ ফিরেও তাকাবে না। বেশি দেরি করলে ফল উলটো হোইতে পারে। জুনিয়র ছাত্ররা বিরক্ত হয়ে ক্লাস শুরুর দাবি জানাতে পারে। তখন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাথে ছাত্ররা মিছিল করবে। পত্রিকায় বলে বেড়াবে ক্লাস বন্ধ রেখে আপনারা কন্সাল্টেন্সী করেন। সেটা প্রমান করা কি খুব কঠিন হবে ১ মাস পর?


আওয়ামীফাইড বুয়েট





ভিসি বশীকরন

১। বুয়েট খুবি ছোট জায়গা। কিন্তু এটাকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাবলে ভূল হবে। আর দশটা পাব্লিক ভার্সিটিতে ছাত্রলীগের যা করছে, সেটা বুয়েটে কেন হবে না? ক্ষমতা বদলের সাথে সাথে রাতে ভোর হবার আগেই ঢাকা ভার্সিটিত মত ভিসি বদল হয়ে যাবে ...অবেলায় 
আপনাদের এই আন্দোলনের দরকার কি?
কেন এই আন্দোলন সেটা ছাত্রদের বোঝান: বুয়েটের ভবিষতের জন্য, আর ১০ দশটা পাবলিক ভার্সিটি থেকে আলাদা হবার জন্য, ন্যায্যতার ভিত্তিতে গ্রেডিং এর জন্য
ছাত্রদের কাছে না টানলে এই আন্দোলন সফল করতে পারবেন না. মিছিল-মিটিং কোনো লজ্জ্বার কাজ না, আন্দোলনে গতি আনতে ইভেন্ট তৈরী করতে হবে, ঘরে বসে পত্রিকায় বিবৃতি দিলে ইভেন্ট হবে না ...ওটা ফেইস্বুকীয় ইভেন্ট হবে 

২. প্রথমবারের মত অনেকগুলো পত্রিকায় বুয়েটের খবর প্রচার হচ্ছে....কিন্তু চাপ প্রয়োগ করতে হলে আরো ঘটনা তৈরী করতে হবে,রেজিস্টার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করে দিতে পারেন... বার কাউন্সিলের সাথে বসতে পারেন 

৩. প্রেস কনফারেন্স করে মানববন্ধন করতে পারেন 

৪. দেশে বিদেশে এলুমনাইরা পত্রিকায় যৌথ বিবৃতি লিখতে পারে

      আপনারা বসে থাকলেও ভিসি সাহেব বসে নাই, উনার কূটকৌশল পলাশীর আম্রকাননের রবার্ট ক্লাইভকেও হার মানাইছে.... শিক্ষকদের মৌলবাদী জঙ্গি অপবাদ দেয়ার  মত ন্যাক্কারজনক হীন প্রচেষ্টা করেছেন, আরো করবেন .... তার divide and rule পলিসিতে বিভ্রান্ত হতে পারে কিছু শিক্ষক ...যে তীব্র মানসিক সামাজিক চাপ তৈরী করার চেষ্টা উনি করছেন...তার বিপরীতে শিক্ষক সমিতি কি করছে? কাউন্টার রিয়েকশন ছাড়া আন্দোলনের ফলাফল পাবেন না 

কেন ১৯ দিন পর এই নোট লিখলাম, তার কারণ.... আমার দেখা সবচেয়ে লম্বা আন্দোলনটা ছিল ১৯ দিনের ...সনি হত্যার বিচার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় সেই আন্দোলনে বুয়েট খোলার ১৯ দিন পর আবার বন্ধ হয়ে যায় ....আপনাদের আন্দোলন সেই থ্রেশোল্ড ক্রস করেছে ....এখনি কিছু না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে  

জ্বালোরে  জ্বালো, আগুন জ্বালো 
বুয়েট ভিসির গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে 


২৫ মার্চ, ২০১২

ফেইসবুকের জোসেফ কনি ২০১২ ও মার্র্কিন যুদ্ধাপরাধবিরোধী ছবক

আপনার যদি ফেইসবুক বা টুইটার একাউন্ট থাকে, তাহলে হয়ত আপনি চেনেন জোসেফ কনিকে। ফেইসবুক, টুইটারে কয়েক মিলিয়নবার শেয়ার করা হয়েছে একটি ভিডিও যার উদ্দেশ্য জোসেফ কনিকে কুখ্যাত করা ও তার ভয়ংকর অপরাধ বিশ্বাবাসীকে জানানো। শুধু ইউটিউবেই এই ৩০ মিনিটের ডকুমেন্টারি প্রকাশের মাত্র তিন সপ্তাহে দেখা হয়েছে ৮৪ মিলিয়ন বার, পেয়েছে ১.৩ মিলিয়ন লাইক। প্রভাবশালী সকল মার্র্কিন, ব্রিটিশ ও অস্ট্রেলীয় পত্রিকায় এসেছে এই ভিডিওর খবর।


জোসেফ কনি উগান্ডার একটি দুর্ধর্ষ গেরিলা দলের নেতা। প্রায় ২৫ বছর ধরে তার দল লর্ডস রেসিসটেন্স আর্মি মূলত শ'খানেক যোদ্ধার একটি দল নিয়ে উগান্ডার হাজার হাজার শিশুকে অপহরণ করে, গ্রামবাসীদের ধর্ষণ, লুটপাট, অঙ্গহানি এসব তাদের উগান্ডায় কুখ্যাত করেছে। কয়েক বছর আগে সে পালিয়ে যায় কঙ্গোতে। সেখানেও তার অত্যাচার জারি আছে। এপর্যন্ত মোট হত্যা করেছে প্রায় ২৪০০ মানুষ


ভাইরাল এই ভিডিওতে ফেইসবুক টুইটারের সাধারণ ব্যবহারকারীদের দেখানো হয়েছে তাদের সামান্য সমর্ধনে এই ভয়ংকর অপরাধীকে পাকড়াও করা সম্ভব। ইউটিউব স্ট্যাটিক্সে দেখা যাচ্ছে কম বয়সী তরুন-তরুনীদের কাছেই এটি সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাদের আহবান করা হয়েছে এটি শেয়ার করে জোসেফ কনিকে দুনিয়াবাসীর কাছে পরিচিত করে মার্র্কিন সরকারের উপর চাপ দিয়ে তাদের বাধ্য করতে যেন তারা মার্র্কিন সেনাবাহিনী পাঠিয়ে এই ভয়ংকর অপরাধীকে পাকড়াও করে পৃথিবীকে কলংক মুক্ত করে। তবে কুখ্যাতদের বিখ্যাত করে, পরে হত্যা করার এই আমেরিকান কৌশল নতুন নয়। তবে জোসেফ কনি যেকোন বিচারেই একজন ঘৃণিত অপরাধী, যার বিচার আবশ্যক। কিন্তু ে ই ভিডিওটি ছড়ানো হচ্ছে তার অন্তর্নিহিত বার্তা খুবি সুগভীর। ভিডিওটি অনেক যত্ন ও খরচ করে বানানো হলেও এর কিছু অংশে ধোয়াশা রয়েছে।


১. কনির বড় অস্ত্র ধর্র্ম: ভিডিওতে কনি সব অপরাধ  দেখানো হয়েছে, কিন্তু তার লর্ডস রেসিসটেন্স আর্মির আদর্শ জানানো হয় নি। মূলত উগ্র-খ্রিষ্টান মৌলবাদী এই দলটির আদর্শ টেন কমান্ডমেন্টের ভুল ব্যখ্যা দিয়ে কনি নিজে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়। এরা শিশুদের অপহরণ করিয়ে যুদ্ধ করায়, বিশ্বাস করানো হয় কনি একজন আধ্যাত্মিক নেতা যার সাথে প্রায়ই ঈশ্বরের কথাবার্র্তা হয়। এই গেরিলা দলটির অনেক ধর্র্মীয় উদ্ভট রীতিনীতি আছে যার সাথে প্রচলিত খ্রিষ্ট ধর্র্মের কোনো মিল নেই। যার প্রবক্তা কনি নিজেই।

২. জাতিসংঘ উপেক্ষিত:  ভিডিওতে ২০১২ সালে মার্র্কিন নির্বাচনে ডেমক্রেট ও রিপাবলিকানদের উপর চাপ প্রয়োগ করে মার্র্কিন বাহিনীকে এই জল্লাদকে ধরতে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। খুবই উত্তম প্রস্তাব। কিন্তু প্রশ্ন  থাকে, কেন উগান্ডার সমস্যার সমাধান মার্র্কিন সেনাবাহিনী করবে? কেন সারা বিশ্বের মানুষ মার্র্কিন সরকারের কাছে চাপ প্রয়োগ করবে? তাহলে কি দুনিয়ার সকল বড় বড় যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিপক্ষে অপরাধের বিচারের দ্বায়ীত্ব মার্র্কিন সরকারের? কেন জাতিসংঘের কাছে একই আবেদন রাখা হচ্ছে না? উগান্ডার সরকারের কাছ থেকে কি কোন সাহায্যের আবেদন এসেছে? 
মার্কিন সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধে সামিল হয়ে বাংলাদেশেও এখন মার্কিন সেনারা আসছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এই যুদ্ধ গত ১০ বছরে কতটুকু দমন হয়েছে? আমাদের পটকাবাজ জঙ্গীদের ধরতে, আমাদের দেশপ্রেমিক পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীই কি যথেষ্ট নয়?

৩. ইনভিসিবল চাইল্ড: আমেরিকান এনজিও ইনভিসিবল চিলড্রেন এই ভিডিও প্রচারণা তৈরী করেছে ও সারা বিশ্ব থেকে ফান্ড সংগহ করছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে এসেছে তহবিল ব্যবহারে অসচ্ছতার মত অভিযোগ। ওয়েবসাইটে দেখা যায় মাত্র দুটি ট্যাব যেখানে একশন কিট দেয়া হচ্ছে আর ডোনেশন কালেশন হচ্ছে। মোট সংগ্রহিত অর্থের মাত্র ৩২% তারা চ্যারিটিতে ব্যবহার করছে, বাকিটা চলচিত্র তৈরি আর বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় হয়েছে। তাই চ্যারিটি ফাউন্ডেশন হিসাবে তাদের দেয়া হয়েছে দুই তারকা রেটিং। তাদের ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্টে ২০১১ সালেই মোট সম্পদের মূল্যমান দেখানো হয়েছে ৬ লাখ ডলারের উপর। 

৪.  ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট: ভিডিওতে দেখানো হয়েছে  ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের শীর্ষ অপরাধীদের তালিকা। তালিকার ১নম্বরে রয়েছে জোসেফ কনি। তালিকায় আরো চারজন কনি  এল.আর.এ সহযোদ্ধার নাম রয়েছে। আবার তাদের প্রচারিত পোস্টার ফ্রি ডাউনলোড করে দেখা যাচ্ছে সেখানে আমেরিকার দুই রাজনৈতিক দলের প্রতীক (হাতি ও গাধা) একসাথে করা হয়েছে। যেই মার্কিন কংগ্রেসের কাছে এই দাবি জানানো হয়েছে তারা নিজেরাই এই  ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট মানেন না। আমেরিকা এখনো  ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের সদস্যই নয়। বুশ, বিল ক্লিনটন থেকে আজকের হিলারি ক্লিনটন সবাই এর বিরোধিতা করেছেন। অবশ্য বুঝতে অসুবিধা হবার কথা না, গত কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার বিরোধী কাজগুলো মার্র্কিন সেনারাই করেছে, সেটা ইরাকের কল্পিত "ওয়েপন অফ মাস ডিসট্রাকশন" বা আফগানিস্তানে ওবামা বিরোধী অভিযান, বা সম্প্রতি পাকিস্তানের ড্রন বিমান হামলায় পাইকারীহারে বেসামরিক মানুষ হত্যা, প্যালেস্টাইনে ইসরেলি আগ্রাসনকে কয়েক দশক ধরে অস্ত্র, অর্র্থ ও কুটনৈতিক সহজোগিতা দিয়ে ইন্ধন জোগানো- যেটাই দেখেন.   

৫. মার্র্কিন নির্বাচনী বিপণনপন্থা : পাঠক জেনে থাকবেন ২০১২ সালে আসন্ন মার্র্কিন নির্বাচনের প্রাথী বাছাই চলছে। অনাবশ্যকভাবেই ইনভিসিবল চাইল্ডের এই ভিডিওতে ১২জন পলিসি মেকারের প্রথম সারিতেই আছে জর্র্জ ডব্লিউ বুশ ও ক্লিনটন সাবেক দুই মার্র্কিন প্রেসিডেন্ট যারা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে আমেরিকাকে যুক্ত করেন নি। ১২ জনের তালিকায় আরো আছেন জন কেরি, মিট রামলি, কন্ডোলিসা রাইস। প্রতি মার্র্কিন নির্বাচনেই দেখা যায় পেসিডেন্ট পদপ্রার্থিরা সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে গুরুত্ব নিয়ে প্রচার পায়। সেইসাথে তারা নির্বাচনের আগেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দেন। শান্তির বাণী ছড়ান। বিগত নির্বাচনে ওবামা নির্বাচিত হবার পরেই শান্তিতে নোবেল পুরস্কারও পান 



৬. যুদ্ধাপরাধের বিচার: বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারে মার্র্কিন সরকারের ব্যপক আগ্রহ দেখালেও নিজের দেশে কেউ যাতে   ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের আওতায় না পরে সেজন্য তারা এতে যোগ দেন নি। নিজের দেশের সেনাবাহিনীর অনেক অপরাধের মধ্যে আজ পর্যন্ত বিচার হয়েছে ভিয়েতনাম যুদ্ধে মাই লাই গ্রামের গনহত্যার । তবে ২৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে একজন সৈন্যকে মাত্র সাড়ে তিন বছর সাজা দেয়া হয় এই বর্বরোচিত হীন যুদ্ধাপরাধ স্বীকার করে নেয়ার পরও। প্রেসিডেন্ট নিক্সন  খালাস করে দেন ইউলিয়াম কেলিকে, কারণ মার্র্কিন জনতা তার মুক্তির দাবিতে সোচ্চার ছিল। ভাগ্যের কি নির্র্মম পরিহাস এখন মার্র্কিন বোদ্ধারাই আবার আমাদের যুদ্ধাপরাধ বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলে ট্রাইবুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন।   

৭ .চেতনার বাজারীকরণ :কনি ২০১২ ক্যাম্পেইন যেই মার্র্কিন এনজিও করছে, তার বিপুল অর্থ আসছে টি-সার্র্ট(২৫ ডলার), ব্রেসলেট (১০ ডলার),  পোষ্টারসহ একশন কিট (৩০ ডলার) বিক্রি করে। 

ওয়েবসাইটে সবকিছুই সোল্ড আউট দেখাচ্ছে। ঝাপিয়ে পরেছে অনেক সাধারণ স্কুল কলেজের ছাত্ররা। কনি শিশু অপহরণের বিচার দাবি করে। মহৎ উদ্দেশ্যকে পুজি করে ব্যবসা নতুন কিছু না, তবে সোশাল নেটওয়ার্র্কিং সাইটে সামাজিক প্রচারণার মাধ্যমে উদ্দেশ হাসিল করা একটি বিরাট সাফল্য। এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানিয়েছে ওবামা প্রশাসন (News Link )

ফেইসবুকের ব্যবহার: ফেইসবুকে আমরা যা দেখে ভালো লাগছে, তাই শেয়ার করছি। ঘটনার গভীরে যাবার আগ্রহ ও সময় নেই কারো। শেয়ার করতে প্ররোচিত করছে ইউটুইবের ৫৮ মিলিয়ন ভিউ সংখ্যা, ফেইসবুকে লাইক সংখ্যা...  এখন সবাই কম বেশি লায়কোহলিক, সবাই এখন নিজ নিজ বন্ধু মহলে হতে চাইছেন স্টার. কিন্তু এই একই অস্ত্র ব্যবহার করে অনেক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জিনিস আমরা শেয়ার করছি... সম্প্রতি হাটহাজারীর মন্দির ভাংচুর ঘটনায় তসনম বেগম নামে ফেইসবুক একাউন্ট খুলে একজন মসজিদ ভাঙ্গার একটি ছবি দিয়ে হাজার খানেক লাইক ও শেয়ার পেয়েছেন...অথচ অনেকেই খেয়াল করেছেন ছবিটি ফটসপড. এভাবে ফেইসবুকেই ধর্র্মীয় উস্কানি দিয়ে দেশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর সুযোগ খুজতে পারে যেকেউ।

আপনার করণীয় কি?  
   
ইউটিউবে থাম্বস ডাউন বাটন আছে, কিন্তু ফেইসবুকে নেই। তাই সম্ভব হলে কমেন্ট করুন শালীন ভাষায়। শেয়ার করা ছবি ও ভিডিও আপত্তিকর, ধর্র্মীয় উস্কানিমূলক, অশালীন বা মিথ্যা প্রচারণা মনে হলে পেজটি রিলোড করে নিন। এরপরে দেখতে পাবেন "রিপর্র্ট দিস ফটো" বাটন। রিপর্র্ট করে দিন। মনে রাখবেন, ফেইসবুক টুইটারে আপনার অবস্থান অনেক ভালো কাজকে যেমন প্রমোট করতে পারে, ঠিক তেমনি অসতর্কতায় অনেক খারাপ উদ্দেশ্য আপনি সফল করে ফেলতে পারেন। তাই অন্ধ অনুকরন করার আগে মনে রাখবেন, জাস্টিন বিবার বা লেডি গাগার  চেয়ে আপনার সামাজিক দায়িত্ব ও মস্তিষ্কের উত্কর্ষ অনেক বেশি। 

রায় না বুঝেই সমুদ্রজয়ের হল্লা: দিপুমনির অজ্ঞতা, নাকি জনগনকে আরেকটি বাজিঙ্গা?


হঠাৎ সমুদ্র জয়ের যে হল্লা শোনা গেল, তার কয়েক ঘন্টা আগে থেকেই সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের (ITLOS) ওয়েবসাইটে ওয়েবসাইটেনজর রাখছিলাম। জার্মানির সেই ট্রাইবুনালের সাইটে প্রথমেই সেই রায়ের কপি দেয়া হলো...ডাউনলোড করে সেটা পড়তে শুরু করলে বাংলাদেশের কুটনৈতিক ব্যার্থতার এক কালপঞ্জি দেখতে পেলাম ...সে কথায় পরে আসছি।

কিন্তু রায় দিতে না দিতেই
রয়টার্সে , বিডিনিউজ২৪ ও প্রথম আলোতে রায়ের ফলে বিশাল বিজয় অর্জিত হয়েছে---পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য পেলাম। নিঃসন্দেহে এই বিষয়ে মীমাংসা একটি বিশাল খবর। কিন্তু পূর্ণ রায় পড়লে বোঝা যায় আমাদের কিছু অংশে জয় হলেও, গভীর সমুদ্রের কয়েকটি পূর্বঘোষিত ব্লক (কমপক্ষে ৬ টি) হাতছাড়া হয়ে গেছে।

গতকাল প্রথম আলোর একটি সংবাদে হালকা করে বলা হয়: "হিসাব মেলাতে দরকার চুলচেরা বিশ্লেষণ"
আজকের সংবাদে একদম পরিস্কার ভাবে এই কথাটাই এসেছে ---

ইটলসের রায় ঘোষণার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশ যা চেয়েছিল, তার চেয়েও বেশি পেয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রায়টি বাংলাদেশের পক্ষে এসেছে ঠিকই, কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন, সেটা বাস্তবের তুলনায় অনেকটা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বলার মতো হচ্ছে।


রায়ের পূর্ণ কপি ও বাংলাদেশের সমুদ্র ব্লক্গলোর ছবি দেখলে ব্যাপারটা পরিস্কার বোঝা যাবে।


আমার মতামত হলো :
আর্ন্তজাতিক এই বিরোধের মিমাংসা একটা বড় অর্জন, যার মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধান চালাতে আমাদের আর বাধা থাকলো না মায়ানমারের সাথে। একই রকমভাবে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার বিরোধ মেটাতে গেলে এই রায়ের ফল আমাদের জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনার টেবিলে অনেক সুবিধা করে দিবে। তবে আসছে এপ্রিলে পেট্রোবাংলার বিডিং শুরুর আগে পিএসসি ২০০৮ এর সংশোধন না হলে এই বিজয়ের ফসল ঘরে আসবে না।

নুতুন মিমাংসিত সমুদ্রসীমানার সাথে পেট্রোবাংলার অফশোর বিডিং এর ম্যাপ মেলালে দেখা যায় আমাদের কয়েকটি গভীর সমুদ্রব্লক মায়ানমারের দখলে গেছে। তবে বিরোধের নিষ্পত্তি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কিছু পুরনো ভুলকে সামনে এনেছে।


১. ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত ৮ বার মায়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পরেও কোন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় নাই, সেই সাথে মিটিং মিনিটসে দুই পক্ষের সম্মতির স্বারক স্বাক্ষর থাকলেও, মায়ানমার ট্রাইবুনালকে জানায়, তারা "তথাকথিত" ১৯৭৪ এর সমঝোতাকে চুক্তি হিসাবে মানে না। জবাবে ট্রাইবুনাল জানায় মিটিং মিনিটসে মায়ানমারের পক্ষে স্বাক্ষরকারী কর্তা ব্যক্তির তার দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কোনো এখতিয়ার ছিল না। একারণে বাংলাদেশের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। এখানে মায়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোকনার সম্মতিকে আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে পরিনত করার ব্যর্থতার ফলেই আলোচ্য বিরোধের সূত্রপাত ঘটে।

২. মায়ানমার গভীর সমুদ্রে তেলগ্যাস অনুসন্ধান করতে কোরিয়ার দাইয়ু কোম্পানিকে কাজ দেয় এবং ২০০৮ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজ প্রথম বাংলাদেশের সমুদ্রসীমানায় মায়ানমার নেভির জাহাজ ও ৪টি ড্রিলিং শিপসহ দেখতে পায়। এর প্রায় ১ বছর আগে মায়ানমারের গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান অভিযানের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডারের খবর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানতে পারে নাই বা জানলেও দ্রুত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে সমাধান করতে যায় নাই। সেটা করা গেলে মায়ানমারের সাথে বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক রেখেই সমস্যার সমাধান করা যেত। কারণ মায়ানমার দায়্যুকে বিবাদমান AD-৭ গ্যাস ব্লকটি অনুসন্ধানের জন্য বরাদ্দ দেয়ায় দেশটির বা দায়য়ুর বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।

পত্রিকার প্রকাশিত খবরে বলা হয়ঃ

"সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ম তামিম বলেন, নতুন ব্লক করার জায়গা খুব একটা বাড়বে বলে মনে হয় না, বরং বিদ্যমান ব্লকগুলোর পূর্ব প্রান্তের কয়েকটি ব্লক সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে মিয়ানমানের সীমানাভুক্ত হবে। এমনকি, গভীর সমুদ্রের ১১ নম্বর ব্লকের যে অংশের মালিকানা দাবি করেছিল মিয়ানমার, ইটলসের রায়ে তারও সবটা বাংলাদেশ পায়নি। ওই ব্লকের কিছু অংশ মিয়ানমানের অধিকারভুক্তই রয়ে যাচ্ছে। তবে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলের অধিকার পাওয়ায় দু-একটি নতুন ব্লক সৃষ্টি ও বাংলাদেশের মাছ ধরার সুযোগ বাড়বে।"


 ছবিটি রায়ের আংশিক অংশের---যেখানে বাংলাদেশে সত্যিকারের বিজয় হয়েছে, যা অনেক দৈনিকে গতকাল প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এটি পয়েন্ট ৮ পর্যন্ত জ্যুম করা ছবি।
কিন্তু পয়েন্ট ৮ এর পরে একটা লম্বা লাইন টানা হয়েছে পয়েন্ট ৯,১০,১১ নিয়ে ....সেই ছবিটি রায়ের শেষের দিকে ১৪৬ পাতায় পাবেন। 





ছবি দুটো খেয়াল করে দেখলে বোঝা যাবে, আমাদের গভীর সমুদ্র ব্লক ১৮, ২২, ২৩, ২৬, ২৭, ২৮ নিশ্চিত ভাবেই মায়ানমারের দখলে পড়েছে

মোট হিসাবে আমাদের ২৮ টা ব্লকের মধ্যে ....৬টি পূর্ণ ব্লক আর ৪টি ব্লকের অর্র্ধেক গেছে আর আয়তনের হিসাব রায়ের ১৪২ পাতায় ৪৯৯ প্যারায় বলা আছে,----------- বাংলাদেশ ও মায়ানমারের রেশিও ওফ এলোকেটেড এরিয়া ১: ১.৫৪ ইন ফেবার অফ মায়ানমার 

--এখানে সমুদ্রজয় কে করলো তাহলে ?

সিঙ্গাপুরের ন্যানইয়াং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (NTU) সমুদ্র নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও অস্ত্রালিয়ার সাবেক নৌ-কমডোর স্যাম বেটম্যান বলেন " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. দিম্পু মনি এই রায়কে তার দেশের বিজয় হিসেবে দাবি করলেও, আসলে মায়ানমার এটিকে তাদের বিজয় হিসেবে দেখতে পারে। কারণ তারা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি সীমানা পেয়েছে আর বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে সীমানা নির্ধারণের দাবিতে পূর্ণ স্বদব্যবহার করতে, যে কারণে বাংলাদেশের দাবি বাতিল হয়ে যায়"। 


তাতে কি হয়েছে? সরকারের বিশাল রাজনৈতিক জয় হয়েছে!
চিয়ার্স 



-------------------------------------------------------------------
ছবি সৌজন্যে: বাপেক্সের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্র্ম্চারী এবং ব্লগার দিনমজুর

৮ জানু, ২০১২

বুয়েটের সমস্যার সহজ পাঠঃ ডোন্ট মেস উইথ আস


পেপার-পত্রিকা মারফত, ভূল-চূক কি শুঞ্ছেন জানি না, তাই কাহিনী খোলাসা করি। বুয়েটের অবস্থা এখন এতই কঠিন যে, প্রথম্বারের মতো ডিএস.ডাব্লিউ পদত্যাগে বাধ্য হৈছেন। তবে সাবেক কুয়েট-পলাতক ভিসি ও মসনদে আসীন প্র-ভিসি এখনো বহাল আছেন। উনাদের নিরাপত্তায় ৬ ট্রাক দাঙ্গা পুলিশ প্রেরন করা হৈছে বুয়েটে।

এর আগে, ছাত্ররা যেই তিনজন অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করতেছিল, তারা সবাই ক্যাম্নে ক্যাম্নে জানি ছাত্রলীগ করতো। তবে কাকতালীয় এই ঘটনা অস্বীকার করছে বুয়েট ছাত্রলীগের সাম্বাডি(সাধারন সম্পাদক)। এরমধ্যে মাছ্রাঙ্গা টিভি ক্যাম্নে ক্যাম্নে জানি জাইনা ফেলছে, এইটা ছিল ছাত্রলীগের দুইগ্রুপের মাইরপিট। তিন ছাত্র যদি ১জন নিরস্ত্রকে পিটায়, তাইলে কি সেইটা ২ গ্রুপ বলা যায়? আহত সাধারন ছাত্র কম্পুবিজ্ঞানের স্নাতক হইতে মাত্র ১টা পরীক্ষা দূরে। কিন্তু আফসোস তার হাত ভাইঙ্গা ফেলছে ছাত্রলীগের পোলাপানের হকিস্টিক। তার অপরাধ, সে জনৈক ছাত্রলীগ কর্মীদের র‍্যাগ কন্সার্টের ইনার সার্কেলে স্বসম্মানে প্রবেশ করতে দেয় নাই। বিশাল গুস্তাফি। ইনার সার্কেলের বাইরেও আরামে কন্সার্ট দেখা যায়। আমি জীবনে ৪/৫টা কন্সার্ট বাইরে দাড়ায়া দেখছি। ১টা দেখছি ভিতরে, যখন আমার ব্যাচের র‍্যাগ কন্সার্ট ছিল। এইটাই নিয়ম। তবে এই নিয়ম ছাত্রলীগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না, এইটা বেওকুফ ঈশান বুঝে নাই। বুঝে নাই বৈলাই, তারে হকিস্টিক, ব্যাট, রড দিয়া হাত-পায়ে পিটায়া শিক্ষা দেয়া হইছে। ২দিন পরে যে ছেলে বুয়েটের শিক্ষা শেষ হবে, তার এইটুকু শিক্ষা বাকি ছিল।

ডেইলী স্টারে ভিসি প্রফেসর নজরুল বলছে "politics had nothing to do with the incident."এইটাও একটা শিক্ষনীয় বিষয়। স্যার নিজে রাজনীতি কৈরা ভিসি হৈছেন, তাই উনি রাজনৈতিক প্রশ্ন পছন্দ করেন না। ২১ আগষ্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার সময় বুয়েটে পরীক্ষা চলতেছিল। ২২ আগষ্টে ০২ ব্যাচের পরীক্ষাও ছিল। আর পরীক্ষার আগের রাতে, ছাত্রলীগের  ৯জনের একটা মিছিল হয়। সেই মিছিলে পানি, জুতা মারছিল সাধারন ছাত্ররা; পরের দিন ৯জনরে শো-কজ নোটিশ দিছিল বুয়েট। ছাত্রলীগের সেই ক্ষুদ্রদলকে মিছিল ও পরদিন বুয়েটের গেটে তালা দিতে বলছিলেন নজরুল স্যার। আওয়ামী লীগ ২১ আগষ্ট সারা ঢাকায় কোন মিছিল করছে জানা নাই, কিন্তু নজ্রুল স্যারের নির্দেশে বুয়েটে মিছিল হইছে। এতটা নিচ বুয়েটের আর কোন শিক্ষক হৈতে পারে নাই। তাই আওয়ামী আমলে এতটা উপরে আর কেউ উঠতেও পারে নাই। উনি আবার নিজে ভিসি হৈয়া ক্ষান্ত হন নাই, প্র-ভিসি নামক একটা পোষ্ট ক্রিয়েট কইরা আওয়ামী লীগের আরেক জিগ্রী দোস্তরে বসাইছেন। সুন্দর।

প্রথম আলো জানাইলো, বুয়েটের সেই হকিস্টিক বাহিনীর ৩জনকে ৬ মাসের জন্য বরখাস্ত করা হইছে। খবরের ভিতরে গিয়া দেহি, সাময়িক বহিস্কার। আবার একি সাথে ৪জনের তদন্ত কমিটি করা হইছে। যদি ৩জন অভিযুক্ত সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত না হয়, তাইলে তাদের সাময়িক বহিস্কারাদেশ দেয়া হোইল কোন বিচারে? আর যদি সাময়িক বহিস্কার দেয়াই হয়, তাইলে বেহুদা তদন্ত কমিটির সার্কাসটা করার দরকার কি? দরকার, কারন তারা ভাবছিল, পুলাপান ভ্যাব্দা। সাময়িক বরখাস্ত শুইনা বাড়ি যাবে, লেপমুড়ি দিয়া ঘুমাবে। কেউ বাড়ি যায় নাই। সারারাত সবাই পৈরা ছিল "আজীবন বহিস্কারের দাবিতে"।

তিনজন ছাত্রলীগ কর্মীর নাম ধাম পরিচয় সবাই জানে। আহত ছাত্রের টেস্টমনি সারা দূনিয়ার মানুষ শুনতে পাইছে ফেইসবুক/ইউটুব ভিডিওর মাধ্যমে(http://www.youtube.com/watch?v=JRXNCv6vjw8)। কিন্তু তদন্ত কমিটি শুনতে পান নাই। তাদের বিস্তর গবেষনা চলতেছে।


বুয়েটে পরীক্ষায় নকল/দেখাদেখি কইরা ২ সেমিস্টার নির্বাসন কাটাইছে, শিক্ষককে তালেবান বলার কারনেও ২সেমিস্টার বহিস্কার খাইছে- এমন নজির আছে। কিন্তু একজন ছাত্রকে পিটায়া তক্তা বানানোর অপরাধে ৬ মাস সাময়িক(!) বহিস্কার? আর এই চুনোপুটিস্য চুনোপুটি ছাত্রলীগের তিনটা ছোকরাকে বাচাইতে ঘন্টার পর ঘন্টা মিটিং? চোখ বন্ধ কৈরা আজীবন বহিস্কার দিয়া দেন। এত ক্যারফা করতে গিয়া আপনাদের রাজনৈতিক ল্যাজ ও ল্যাজের গুচ্ছবাল সবাইকে দেখায়া দিচ্ছেন ক্যান? এখন ক্ষেমতায় আওয়ামী লীগ।ফাসীর আসামীরে ফিরাইয়া আন্তেছে, আর মামুলী বহিস্কারাদেশ তো **ও না! আজীবন বহিস্কারাদেশ নিয়া এরা আদালতে যাবে, ৪/৫ মাস পরে এই মেরুদন্ডহীন আদালত তাদের সাজা কমায়া ২ সেমিস্টার কোইরা দিবে। নাকি এই দুই সেমিস্টারের বিরহও আপনাদের সইতেছে না?

গভীর রাতেও কেউ নড়ে নাই
ঈশানের ভাঙ্গা হাড়

কার্টুনঃ মামুর
বুয়েট নিয়া আরো কিছু লেখাঃ ক্যান্টিনে শোরগোল!- বাই বুয়েটিয়ান ফর বুয়েটিয়ান অফ বুয়েটিয়ানhttp://www.somewhereinblog.net/blog/troublekid/29106730

২১ ডিসে, ২০১১

রাজাকার নিধন ও যুদ্ধাপরাধ বিচারের মৌলিক পার্থক্যঃ রাজনীতি ২০১২

দেশবাসীকে উপদেশ দেয়া আমার উদ্দেশ্য না। কারন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর দুই হালি উপদেষ্টা আছে। যদিও সরকারী ওয়েবসাইটে উপদেষ্টা তালিকায় সজীব জয়ের নাম নাই, তথাপি উনি যেহেতু নিজেকে উনার মায়ের উপদেষ্টা হিসাবে পরিচয় দিয়া আনন্দ পান, তাই উনাকে গণনায় ধরতে হচ্ছে। আমার নিজের মাকে উপদেশ দিলে নগদ চটকানা খাওয়ার ভয় আছে। কিন্তু সজীব জয়ের কথা আলাদা। উনি জাতির পিতার আপন নাতি। বাকি ৭ জনের ৪জনের পিএইচডি আছে। ২জন আবার ব্যাপক প্রফেসর। তাই জাতিকে উপদেশ দিয়া ভারাক্রান্ত করতে চাই না। নিজের প্রয়োজনেই লিখা রাখা।

গুপ্ত হত্যা vs. চোরাগোপ্তা খেলা শুরু হৈছে। স্কোর ৪০-২। কোন পক্ষ কোন দিকে গোল দিতেছে বুঝা যাইতেছে না। ব্রুট মেজিরিটির সরকার ৩ বছরের মাথায় আইসা আবর-স্প্রিয়ের ভয়ে প্রি-এম্পটিভ এটাক চালাইতেছে। অজানা হাজার খানেক মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়া রাখছে। যাতে যেখানে যারে সন্দেহ হয়, তারে শ্রী ঘরে ঢোকান যায়। তবে রাজনীতির এই আগুনে কাবাব হৈতেছে পাব্লিক। নিতান্ত আম পাব্লিক।

এদিকে যুদ্ধাপরাধের বিচারে দেশী-বিদেশী মিডিয়াতে বেশ শোড়গোল পড়ছে। এতে বুঝা যাইতেছে বিদেশী মিডীয়াতেও অনেক ইনভেস্টমেন্ট হইতেছে। কোনটা যুদ্ধাপরাধ-কোনটা মানবাধিকার লংঘন এইসবের সংজ্ঞায় যাচ্ছি না। যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে হেন করা হচ্ছে, তেন করা হচ্ছে... এইসব ঢাল সরকার যত্রতত্র ব্যবহার করায় ব্যাপারটা বেশ খেলো হৈয়া গেছে। এমন কি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ঢাকা ভাগের হরতাল সমর্থকদের (এই তালিকায় নব্যপ্রতিষ্ঠিত কিছু সুশীল ব্যানারের অনেক স্বনামধন্য শিক্ষক, কলামনিষ্টও আছেন) সাথে রাজাকার সমর্থকদের  মিল পাইতেছেন। তিনি কচ্ছেন "নিরপেক্ষ বা মধ্যমপন্থী বলে কিছু নেই" ...তাহৈলে উনার সাথে হিটলারের পার্থক্য কোথায় থাক্লো (বিশাল গোঁফটা ছাড়া)?  

তবে হঠাৎ হানাহানির রাজনীতি শুরু হওয়াতে মনে হচ্ছে বিরোধী জোট কোন কারণে আর বসে থাকতে পারতেছে না। কিসে যেন তাদের বেশ তাড়া। ইনফ্লেশন ১০% ক্রস করছে ৩মাসের উপরে। টিপাইমুখ নিয়া সরকারের অবস্থান ভারতের অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরার চেয়েও দূর্বল ও অনুগত। সরকার ৬১ জন জেলা প্রসাশক একরাতে পরিবর্তন করে ভোটের মাঠ সাজাচ্ছে। স্টক মার্কেটে পৌনপুণিক দরপতন ও বিশাল অংকের টাকা গায়েব, তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশে সরকারের নিতান্ত অনিহা। এইসব কোনটাই বিরোধীদলকে তেমন অসুবিধায় ফেলে নাই, যতটা যুদ্ধাপরাধ বিচারের আন্তর্জাতিক(কার্যত দেশীয়) ট্রাইবুনালের মামলার গতি ফেলছে। ঢিমে তালে বছর খানেক চলার পরে হঠাৎ গতি বাড়ার কারন নির্বাচন হতে পারে। আমাদের বিচার বিভাগ মূলত গরুর গাড়ির গতিতে আগায়। সরকারের হাতে হালুয়া পেন্টির বাড়ি না খেলে তার নড়ন-চড়ন তেমন দেখা যায় না। ১৫ আগষ্টের আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার করতে ২বার ক্ষমতায় আসা লাগছে আওয়ামীলীগকে।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সরকারের বা দলের থাকতে পারে। উকিলের উদ্দেশ্য প্রফেশনালি অপরাধ প্রমান করা। কিন্তু মনে হইতেছে, তারা তাড়াহুড়া করতে চাইতেছে। এবং বিরোধীদল রাজনৈতিক সহদর বাচাইতে তাড়াহুড়া করে আন্দোলনে যাইতে চাচ্ছে। আবার স্বাধীনতার বিপক্ষ-শক্তির চোরাগোপ্তা হামলা ঠেকাইতে স্বাধীনতার স্বপক্ষ-শক্তির জনবল বৃদ্ধির বিশেষ দরকার পড়ছে তাই সরকার ফাসির আসামী, খুনের আসামী সবাইকে বেকসুর খালাস করে দিচ্ছে।


যুদ্ধাপরাধের বিচারের খবর নিউজ মিডিয়াতে তেমন পরিস্কার করে আশতেছে না। কারন প্রতিটা দৈনিকপত্রিকাই কম বেশি কোন না কোন ব্যবসায়ীক গ্রুপের বেতনভূক, সেই সাথে রাজনীতির ২ মেরুর কোন একদিকে ভরকেন্দ্র সরায়া রাখছে। তারা মাঝে মাঝে সাকা চৌধুরীর যেসব বক্তব্য শুনায়, তাতে মনে হয় ট্রাইবুনাল পল্টনে বসছে, সাকা নিশ্চিন্তে ভাষন দিয়াই যাচ্ছে।


আমি তাই কোট করবো ডেভিড বার্গম্যানের ব্লগ। বার্গম্যান ১৯৯৫ সালে War Crimes File নামের একটি চমৎকার ডকুমেন্ট্রি করেন ও পুরস্কার পান। উনার ব্লগে ভিউজ না দিয়ে তিনি নিউজ দিয়েছেন, ধারাবাহিক জেরার বর্ণনা দিচ্ছেন।
 
সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ প্রমানে প্রথম সাক্ষীঃ ২০০৪ সালে খালেদার আমলে মুক্তিযোদ্ধার খাতায় নাম লেখাইছেন। তাও আবার সাঈদীর সুপারিশে (সাঈদী আবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিচ্ছে কবে থেকে? বেহেস্তের টিকিট কি শেষ নাকি?)। পরবর্তীতে আওয়ামী সরকার আমলে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা তাকে ভূয়া হিসাবে আখ্যা দেন!আশেপাশের গ্রামের পিস কমিটির সদস্যদের নামও বলতে পারতেছেন না। লিঙ্ক 

মুক্তিযুদ্ধের পরে প্রায় ৮২হাজার তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা থাকলেও পরে তা বাড়তে বাড়তে ৩ লাখ হৈছে। আবার একি সাথে রাজাকারের সংখ্যাও যুদ্ধের পরে বাড়তেছে। জিয়াউর রহমান, কাদের সিদ্দীকীর মতো অনেকেই নুতুন করে রাজাকারের খাতায় স্থান পাচ্ছেন সরকারী দলের নেক নজরের কারণে।
 
এই বর্ধিত রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ভূয়া। সমস্যা হৈল এইরকম ভূয়া সাক্ষী একটা গেলে সমস্যা নাই। কিন্তু এইরকম অপরিপক্ক সাক্ষী পায়া জেরা করা হৈছে ৩দিন। এইটা স্পষ্টই সময় নষ্ট করার চেষ্টা। আর এই সময়েই রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়তেছে।


আশঙ্কার বিষয়ঃ
রাষ্ট্র বরাবরের মতই প্রসিকিউট করতে ব্যর্থ হৈতেছে। প্রতিটা ব্যর্থতার কন্সিকোয়েন্স আছে। আমরা হাসিনা-খালেদা-এরশাদের দূর্নীতি প্রমান করতে ব্যর্থ হৈছি। তার মাসুল দিচ্ছি। এখন নিজামী-গোলাম আযম-সাঈদীর বিচারেও ব্যর্থ হৈলে- এরা আগামীতে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিবে। গেল কয়েক বছরে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার হইছে, এরপরে রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধা সাজবে। ৫ বছরের মিউজিকাল চেয়ারের খেলায় বর্তমান বিরোধীদলের ক্ষমতায় যাবার সম্ভাবনাকে প্রকট ধরলে এই বিচার এই সরকারের আমলে শেষ না হলে, আগামীতে আর হবে না।

এরমধ্যে একটা অসহিষ্ণু ক্রাউড তৈরী হৈছে। এরা ৪০ বছর পরে, আর অপেক্ষা করতে পারতেছে না, স্রেফ কয়েকজনকে ঝুলায়া দেয়ার পক্ষপাতী। কিন্তু ঝুলায়া দেয়াটা বিচারের মূল উদ্দেশ্য না। আজকে ২টা রাজাকারের ফাসি দিলে, মূল অবস্থার তেমন পরিবর্তন হবে কি? আর ৪০ বছর পরে এদের মেমোরিয়াল হবে, সেই খানে সমাজের ১০জন গন্যমান্য লোক স্পিচ দিবে। ১০টা টিভি চ্যানেল, ২ হালি পত্রিকায় নিউজ দিবে। সেই প্রজন্ম হয়তো আমাদেরকেই খুনি, বর্বর বলবে।

কিন্তু যদি ২-৪জনের অপরাধ পর্যাপ্ত আর্গুমেন্ট ও স্ক্রুটীনির মাধ্যমে প্রমাণ করে, ঝুলায়া দেয়া যায়... আর ২০০ রাজাকার তাদের ১৪ গুষ্টি কোন দিন মাথা তুইলা দাড়াইতে পারবে না। 


কিন্তু ট্রাইবুলান যদি পত্রিকার লেখনী দেইখা বিচলিত হয়ে যায়, সম্পাদককে ডাইকা আইনা ঝাড়ি দিতে চায়--তাইলে ফ্রি-ফেয়ার ক্যাম্নে হবে? আসামী পক্ষকে যদি বাই ল(LAW) মাত্র ৩ হপ্তা সময় দেয়া হয়, আর সরকারী উকিল ১ বছর ধরে মামলা গুছায়, তাইলে ফেয়ার হইলো? ডিফেন্সের উকিল, সাক্ষীদের যদি মামলা-মোকদ্দমার ভয় দেখায়, তাইলেতো হবে না।

তার উপরে যদি সরকার প্রথমেই একটা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা দিয়ে শুরু করে, তাইলে বুঝতে হবে, তাদের উদ্দেশ্য তাড়াহুড়া করে দুই-এক্টা রায় দিয়ে বাকিদের ইলেকশন পর্যন্ত ঝুলায়া রাখা। ইলেকশনের আগে চয়েস ফর্ম ফিলাপ করতে হবে "রাজাকারদের কি জেলে দেখতে চান? চাইলে ভোট দেন"। কারন বিএনপি আজ পর্যন্ত রাজাকারের বিচার করবে এমন কোন স্টেটমেন্ট দেয় নাই।



কোয়ালিশন ইলেকশন কমিটমেন্ট
রাজনীতির ঘোলা পানিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের আসল শক্তির মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।  সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আবার সক্রিয় হতে পারে। তারা অরাজনৈতিকভাবে কিছু মৌলিক দাবিতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপিকে রাজি করাতে পারে। এটাকে বলা যেতে পারে "কোয়ালিশন ইলেকশন কমিটমেন্ট", নির্বাচনের পরে (নির্বাচন হবে কিনা সেইটা নিয়াও সন্দেহ আছে) যাতে বিচারকাজ আপন গতিতে চলতে পারে সেইজন্য দুইপক্ষে কাছে কিছু স্পষ্ট কমিটমেন্ট আদায় করতে হবে। যেমনঃ 
*ট্রাইবুনাল ভেঙ্গে দেয়া যাবে না
*কোন আইনে বিচার হলে সেটা গ্রহনযোগ্য হয়- সেটা আন্তর্জাতিকমানের হয় সেটার শোনা। শুধু শুধু, ট্রাইবুনালের নিরপেক্ষতা প্রশ্ন করা যাবে না,
*মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধের তথ্য-প্রমান দলিল করতে গবেষনায় বরাদ্দ কত হবে ও মূল গবেষক কারা হবেন তার লিখিত তালিকা নেয়া 
* এরকম আরো কিছু পয়েন্টে মতামত আদায় করা যেতে পারে।

তবে এই কাজে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের লে.জেনারেল হারুন-অর-রশিদকে ডেস্টিনি ২০০০লিমিটেডের ডিরেক্টর হিসাবে নয়, হাত বাড়াতে হবে চেয়ে প্রবল জনসমর্থন আদায়ে। স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির এইটাই শেষ সুযোগ। আমাদের এক্ষনী আরেকজন জাহানারা ইমাম প্রয়োজন।
ছবিঃ মেঘ রোদ্দুর